কিশোরগঞ্জের হাওড়ে মাছ ধরার উৎসব
প্রাণবন্ত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস
মৎস্যভান্ডার খ্যাত হাওড়, খাল, বিলসহ জলাশয় সমৃদ্ধ কিশোরগঞ্জে শুরু হয়েছে গ্রামীণ মাছ ধরা উৎসব। আবাল প্রৌঢ় নানা বয়সের শত শত মানুষের অংশগ্রহণে প্রাচীন এ উৎসব হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
কিশোরগঞ্জের জলাশয়গুলো থেকে এখন বর্ষার পানি নেমে যাচ্ছে। এই সময়টাতে প্রতিটি জলাশয়ে পানির গভীরতা কমতে থাকে। ফলে পানির গভীরতা কমে গিয়ে প্রতিটি জলাশয়ের পাড় জেগে ওঠায় মাছগুলো একটি নির্দিষ্ট গ-িতে আটকা পড়ে যাচ্ছে। আর এই সময়টারই সদ্ব্যবহার করছেন মৎস্য শিকারিরা। রুই, কাতলা, মৃগেল, ঘণিয়া, কার্পু, বোয়াল, আইর, গজার, শোল, সরপুঁটিসহ নানা জাতের মাছ এই উৎসবে ধরা পড়ে। গত শনিবার সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের মহিমের বাইদে (মহিমের জলাশয়) হয়ে গেল এরকমই এক মাছ ধরা উৎসব। এ দিন ভোরবেলা থেকে মাইকিং করে কয়েক গ্রামের মৎস্য শিকারিদের বিশাল মাছ ধরা উৎসবের আয়োজন করা হয়। দলে দলে বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশের তৈরি পলো আর জাল নিয়ে লোকজন নেমে পড়েন ঐ জলাশয়ে। এ মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত ধাওয়া করে লোকজন মাছ ধরেছেন।
এ দিকে জেলার অধিকাংশ জলাশয় সরকারিভাবে ইজারা হয়ে যাওয়ায় আগের মতো উন্মুক্ত জলাশয় তেমন নেই। ব্যক্তিগতভাবে ইজারা নেয়া জলাশয়ে কেউ বাইরের মানুষকে মাছ ধরতে দেন না। যে কারণে মাছ ধরা উৎসবের আমেজেও অনেকটাই ভাটা পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রাচীন এই মাছ ধরা উৎসবও অনেকটাই বিবর্ণ হয়ে এসেছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।