প্রতিবন্ধী কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছে প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের
আগে শাহবাগ মোড়ে 'বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ্থ-এর ব্যানারে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী যোগ দেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য 'বিনাশর্তে' ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি, বিসিএস প্রিলিমিনারি থেকে কোটা কার্যকর, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রাখা, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে অন্তত একজন প্রতিনিধি রাখা, প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী নিয়োগ করা, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শিথিল করা, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করাসহ ১১টি দাবি জানানো হয় ওই সমাবেশ থেকে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রতিবন্ধীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে দুপুরে শাহবাগে যান। প্রতিবন্ধী কোটার দাবিতে আন্দোলনকারীদের এই দাবি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রাব্বানী বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী। আমাদের সংবিধানে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি তাদের দাবি যৌক্তিক। তাই এ দাবির পাশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থাকবে। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আলী হোসাইন এ সময় বলেন, আমরা একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কথা বলতে চাই। আপনি আমাদের সে সুযোগ করে দিবেন।আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দীর্ঘ সময় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে থাকায় আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এতদিন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। ওই পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবরের শুরুতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে সরকার। অবশ্য জোরালো আন্দোলন হলে নতুন করে কোটার ব্যবস্থা হতে পারে বলেও সে সময় ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা বাতিলের পর থেকে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতেও কয়েকটি সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।