শাজাহানপুরে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ। আহত ৩। যুবদলনেতা আটক
বগুড়া থেকে এম. এ. রাশেদ
তারেক জিয়ার রায় ঘোষণার পরপরই বুধবার দুপুরে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সাজাপুর এলাকায় টিএমএসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী নাবিল ক্লাসিক (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-০৬৪৪) পরিবহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন মহিলা আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় জেলা যুবদলের কৃষি বিষয়ক সহ-সম্পাদক
নূর মাহমুদ মুন্সীকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। নূর মাহমুদ পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মহাসড়কের পূর্বপাশে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালনোর চেষ্টা করলে পুলিশ নদীতে নেমে তাকে আটক করে। নূর মাহমুদ উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়ার মুহাম্মদ খাজা মিয়ার পুত্র। আহতরা হলেন, নীলফামারি সদর উপজেলার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম (৫০), নীলফামারি জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০) ও টাঙ্গাইল জেলার শান্তিনগরের শামীমা (২৭)। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
বাসযাত্রী বিলকিস আক্তার ও তার মেয়ে তাসকিয়া আক্তার জানান, উপজেলার ওই স্থানে বাসটি পৌঁছলে প্রথমে ৮-৯ জন বাসটি লক্ষ্য করে লাঠি ছুঁড়ে মারে। পরে ২ জন সামনে এসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের পর স্থানীয়রা টিএমএসএস ফিলিং স্ট্রেশন থেকে পানি নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। শাজাহানপুর থানার এসআই রুম্মান হাসান জানান, পেট্রল বোমা নিক্ষেপকারিদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। আহত ৩ জনকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় আনা হয়েছে। নূর মাহমুদ পালানোর জন্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে ১ কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয়। তার পিছনে ধাওয়া করে নদীতে নেমে তাকে আটক করা হয়। আহত আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ হওয়ার পর তিনিসহ তিনজন বাসযাত্রী সামান্য আহত হন। তাদের গালে, কাঁধের পিছনে ও হাতে ফোসকা পড়েছে। শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।