ইলিশ ধরার দায়ে মানিকগঞ্জ ও চাঁদপুরে ২০ জেলের কারাদণ্ড
জনতা ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মা-ইলিশ শিকার করায় ৮ জেলেকে আটক করে এক বছর করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর দিকে, মানিকগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ ধরার অপরাধে শিবালয় উপজেলায় ১৪ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদ- করেছে।
এফএনএস জানিয়েছে, চাঁদপুর মেঘনা নদীতে 'মা' ইলিশ শিকার করার অপরাধে পৃথক অভিযানে আটক আট জেলেকে আটক করে এক বছর করে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাঁদপুর সদর অমিত চক্রবর্তী। দ-প্রাপ্ত জেলেরা হলেন- সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী (২২), রহিম শেখ (৩৫), মাসুদ পাটওয়ারী (৩০), একই উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের চুন্নু মিয়া (২৫), ফজলু মিয়া (৩৬), হানিফ সৈয়াল (২২), পার্শ্ববর্তী বিষ্ণপুর ইউনিয়নের মো. শরীফ (৩৮) ও শহরের উত্তর শ্রীরামদী এলাকার আল-আমিন (৩৫)। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে জেলা সমপ্রসারণ কর্মকর্তা প্রতিক দে মেঘনা নদীর
হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন, রহিম ও মাসুদকে মাছ ধরা অবস্থায় আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরদিন সকালে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মেঘনা মোহনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় চুন্নু মিয়া, ফজলু মিয়া, হানিফ, শরীফ ও আল-আমিনকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও দু'টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, দ-প্রাপ্ত জেলেদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দ হওয়া নৌকা নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ শিকারের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ১৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার বিকাল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান তাদের এ দ- দেন। ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, কেনাবেচা ও মজুদ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। শিবালয় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল আলম জানান বলেন, ইউএনও মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন ও শিবালয় থানার পুলিশ পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরতে দেখে ১৪ জেলেকে আটক করা হয়।তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৭৫ কেজি ইলিশ ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল। পরে ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের মধ্যে চারজনকে এক বছর করে ও সাতজনকে এক মাস করে কারাদ- দেওয়া হয়। এ ছাড়া অপ্রাপ্ত তিনজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদ- দেওয়া হয় বলে রফিকুল জানান। ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, জব্দ করা ইলিশগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানা ও একটি মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।