দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ। আর তা দমনে দেশে চলছে তুলকালাম কাণ্ড। সরকারের শুদ্ধি অভিযানে ধরাও পড়ছেন কেউ কেউ। তবে মানুষের মধ্যে সন্দেহ কাজ করছে। সর্বমহলে একটি গুঞ্জরণ ঘুড়ে বেড়াচ্ছে তা হলো- চুনোপুঁটি পাকড়াও করে নাটের গুরুদের সেভ করার কৌশল চলছে নাতো?
ক্যাসিনো কা-কে ঘিরে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানে দেশবাসী আশান্বিত। তারা ক্যাসিনো কাণ্ডের উৎখাতের সাথে সাথে সব অবৈধ কর্মকাণ্ড বা দুর্নীতির অবসান দেখতে চায়। তারা দেখতে চায় সকল দুর্নীতির হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও সম্রাটকে আটক করতে বিলম্ব হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছিল। এখন সম্রাট ধরা পড়ার পর সবার প্রশ্ন 'শেখ আবদুল হাই ধরা পড়বেন কবে?' কারণ ক্যাসিনো কা-ের মতো দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, লুটপাট, জালিয়াতি ও দুর্নীতিতে ব্যাংকগুলোর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি উল্লেখযোগ্য। কারণ ব্যাংক খাতের জালিয়াতিতে দেশের সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কেননা, ব্যাংকটিতে হরিলুট হয়েছে। আর এর পেছনে ছিলেন এই চেয়ারম্যান।' তাছাড়াও সংসদে অনেকবার শেখ আব্দুল হাইকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে শেখ আবদুল হাইয়ের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ পর্যন্ত দুদক তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করেনি। কারণটি রহস্যাবৃত্তই বটে।
পুনশ্চ : শুরু হয়েছে দেশের নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান। দেশের জনগণের চাওয়া, ব্যাংক এবং শেয়ারবাজারের লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদেরও এর আওতায় আনা হোক। এখানে দুদকের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।