চুনারুঘাট সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের তদন্ত শুরু
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
চুনারুঘাট সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্যে, লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পেশকার মফিজ সহ বিভিন্ন শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, সিলেটে এ তদন্ত কার্যক্রম করেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (উপ-সচিব) সৈয়দ ফারুক আহাম্মদের নেতৃত্বে একটি বোর্ড। তদন্তে ভুক্তভোগীরা আপিল ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার রফিক উদ্দিন আহমেদের যোগসাজশে সার্ভেয়ার রাখাল চন্দ্র দাশ ও কথিত পেশকার মফিজুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। চুনারুঘাট সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্য লাখ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে পেশকার' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয় সেটেলমেন্ট বিভাগসহ সাধারণ মানুষের মাঝে। তা নজরে আসে সেটেলমেন্ট জোনাল কার্যালয়ের। এক পর্যায়ে কথিত পেশকার মফিজের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, মফিজ পৌনে তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সৈয়দ ফারুক আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় তার কার্যালয়ে অভিযুক্ত আপিল ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার রফিক উদ্দিন আহ্মেদ, সার্ভেয়ার রাখাল চন্দ্র দাস ও কথিত পেশকার মফিজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের স্বশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রমাণসহ উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশে উল্লেখ করেন।
এদিকে আপিল ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার রফিক উদ্দিন আহমেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবরে ভুক্তভোগী রুদ্রপুর মৌজার হাবিবুর রহমান, সাতপাইকা মৌজার ছালেহ আহমদ, মানিক মিয়া, ফুল মিয়া সহ ৫ জন বাদী হয়ে বিভাগীয় তদন্তে পৃথকভাবে আরো ৫টি লিখিত অভিযোগ ও ঘুষ লেনেদেনের ভিডিও ফুটেজের সিডি দাখিল করেছেন। গত রোববার ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদকের হাতে দাখিলকৃত অভিযোগের রিসিভ কপি দেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।