নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এখন মৃত্যুফাঁদ
বাড়ছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা
স্টাফ রিপোর্টার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্ত এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বাড়ছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা। গত এক সপ্তাহে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশিসহ অন্তত চার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছে অর্ধডজন।
আগস্ট মাসে মায়ানমার সেনা চৌকিতে হামলার পর থেকে আরাকান রাজ্যে চলা রোহিঙ্গা নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকার ৭টি পয়েন্টের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয় প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইলেও মাইন বিস্ফোরণের ভয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হচ্ছেন না রোহিঙ্গারা। তারা ওপারে পাহাড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছেন। সীমান্তে জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গা নাগরিকরা মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে আর যেনো প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, আশারতলি, চাকঢালা ও সাপমারাঝিরি, লেমুছড়ি সীমান্তসহ ৭টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে স্থল মাইন। হতভাগা রোহিঙ্গা নাগরিকরা মায়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেও সীমান্তে এসে অসতর্কতা অবস্থায় স্থল মাইনে পা দিয়ে বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে। এতে কারও দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, আবার কারও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ খোঁয়া যাচ্ছে। এ পর্যন্ত মাইন বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে সাবেকুন্নাহার (৪৫), কায়সার (১০), মো. আলম (৭), বাংলাদেশি যুবক মো. হাসান (৩২), আয়েশা আক্তার, আব্দুল কাদের (৪৮) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন-গোল ছেহের (৬০), ছৈয়দ আহমদ (৫৫), মোক্তার আহমদ (৪৫), বাংলাদেশি হাকিম উল্লাহ (৪৫)।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।