চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার আটক
জিংকের বস্তায় তেজস্ক্রিয়তা মিলেছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বন্দরে আটক পণ্যবাহী কন্টেইনারটির ভেতর থেকে নয়টি জিংক অঙ্াইডবাহী বস্তায় তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল বস্তাগুলো পরীক্ষার পর গত মঙ্গলবার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তের কথা জানান। গত রোববার থেকে দলটি চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা কন্টেইনারটি পরীক্ষা শুরু করেছিল। বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেবাশীষ পাল বলেন, কন্টেইনারটিতে প্রতিটি ৫০০ কেজি ওজনের মোট ৪১টি জিংক অঙ্াইডের বস্তা ছিল। সোমবার তেজস্ক্রিয়তাবিহীন বস্তাগুলো সরানো হয়। গত মঙ্গলবার তেজস্ক্রিয়তা আছে এমন নয়টি বস্তা শনাক্ত করা হয়। এই নয়টি বস্তা আলাদা করে একটি কন্টেইনারে রেখে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। দেবাশীষ বলেন, আলাদা কন্টেইনারে এমনভাবে বস্তাগুলো রাখা হয়েছে যাতে পরিবেশ বা মানুষের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়। বস্তাগুলোতে থাকা তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা জানতে চাইলে দেবাশীষ পাল বলেন, সর্বনিম্ন প্রতি ঘণ্টায় দশমিক তিন মাইক্রোসিয়েভার্ট (তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের একক) থেকে সর্বোচ্চ প্রতি ঘণ্টায় আট মাইক্রোসিয়েভার্ট পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মনে হচ্ছে যে উৎস থেকে জিঙ্ক অঙ্াইড আহরণ করা হয়েছিল সেখানে কোনো তেজষ্ক্রিয় পদার্থের স্পর্শে এই জিঙ্ক অঙ্াইডগুলো তেজষ্ক্রিয়তা প্রদর্শন করছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খান খান বলেন, যে নয়টি বস্তায় তেজষ্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে একটি মাত্রা আট মাইক্রোসিয়েভার্টস এর বেশি। বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করে তাদের ঢাকার পরীক্ষাগারে নিয়ে গেছেন। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত ২২ অগাস্ট কন্টেইনারবাহী একটি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরের তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ ফটক পার হওয়ার সময় সংকেত বেজে উঠলে কন্টেইনারটি আটক করা হয়। সিটাডেল গ্লোবাল করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান জিঙ্ক অঙ্াইড ঘোষণায় কন্টেইনারটি চীনে পাঠাচ্ছিল।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।