বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চাল নিয়ে মিল মালিকরা কারসাজি করছে। তাদের মজুতের কারণে চালে মাকড়সা ধরেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গোডাউনে গেছে। যারা অবৈধভাবে চাল মজুত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ফসলহানীর পর চাল ও গমের ওপর নির্ধারিত ২৮ শতাংশ ট্যারিফ হরাস করে প্রথমে ১০ শতাংশ এবং পরে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে ব্যক্তি পর্যায়েও চাল-গম আমদানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে দেশে ৬ লাখ ৬১ হাজার টন চাল মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৪৭ হাজার টন চাল গুদামে মজুত রয়েছে। আর ১ লাখ ১৪ হাজার টন চাল জাহাজে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতীয় কাস্টমস বাংলাদেশকে একটি চিঠি দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি এখনও পুরোটা জানি না। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশে নেই। আর ডেপুটি হাইকমিশনার কঙ্বাজারের উখিয়ায় আছেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পর তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যাবে। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সতর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত চাল আমদানির কারণে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেতন আছে এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষায়ও সচেতন। বন্যার পর ফসল ভালো হয়। আগামী বছর আবারও দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।