দশমিনায় পরিত্যক্ত হওয়ার ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি বিদ্যালয় ভবন
খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
দশমিনা (পটুয়খালী) থেকে সঞ্জয় ব্যানার্জী
পটুয়াখালীর দশমিনায় ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দুই বছরেও সংস্কার কিংবা নতুন ভবনের দেখা মেলে নি। ফলে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাশবাড়িয়া ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি বিদ্যালয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি বলে জানান শিক্ষকবৃন্দ। বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর পূর্ব পাশে থাকা একটি মালিকানা ঘরের মধ্যে ক্লাশ নেয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়টির পশ্চিম পাশের মৎস্য সমিতির একটি কক্ষেও ক্লাস নেয়ার জন্য ব্যবহার করে আসছে শিক্ষকরা। এদিকে, চলতি বছরের ১ জুন স্কুলটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫শ' টাকা। সেই টাকা দিয়ে টিনের ঘর তৈরি করে এখন সেখানে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় ভবনটির ছাদের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে। এতে করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি অফিসিয়াল কোনো কাগজপত্রও রাখার উপয় নেই। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, চার বছর আগে স্কুলভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজও কোনো সরকারি ভবন না হওয়ায় সরকারি কিছু সহযোগিতা ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে টিনের একটি ঘর তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ জাহিদ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ইসলামিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টির ব্যাপারে উপর মহলে আমার কথা হয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।