গোয়ালন্দ মোড়ে অবৈধ নসিমন করিমন চলছে
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর হাইকোর্র্টের নির্দেশ অমান্য করে দৌতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবৈধ নসিমন, করিমন, ভডভডি ও মাহিন্দ্র অবাধে চলছে। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রাজবাড়ী -ফরিদপুর ও গোয়ালন্দ মোড়-দৌলতদিয়া মহাসড়কে এ সকল অবৈধ যানবাহন পুলিশ প্রহরায় চলছে। পুলিশে মাসহারা বিলম্ব হলে অবৈধ এ সকল যান আটক করা হয়। জেলায় কয়েক হাজার অবৈধ যানবাহন থাকিলেও পুলিশের কাছে তার তালিকা নেই। থানায় গাড়ি এনে ছেড়ে দেয়ার বাণিজ্য রমরমা হলেও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে নীরব। গত ২ মাসে অর্ধ শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। মোগগুলের দোকান এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুসহ তিনটি মামলা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সকল যানবাহনের চালকদের কোনো ড্রাইভিং লাইন্সেস নেই। সরকারের বিআরটিএর কোনো রুট পারমিটও নেই। অথচ হাইওয়ে পুলিশের প্রহরায় চলছে অবৈধ যানবাহন। জানা যায়, পুলিশের মাসহারা দিয়ে চালকরা দিবারাতে এ সকল অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছে। হাবিব মটরস, মাসুদ মটরস ঝিনাইদাহ, মুক্তার মটরস, বাদশা মটরস, আলামীন মটরস কুষ্টিয়া, আয়শা মটরস মাগুরা, সাতক্ষীরার আলিফ মটরস, শাহজাহান মটরস প্রভৃতি ব্যানারের ট্রাকের নিকট থেকে মাসহারা আদায়ের কারণে মামলা হয় না। সরকার প্রতি মাসে রাজস্ব হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিলম্ব ঘটিলেই পুলিশ অবৈধ গাড়ি আটক করে। থানায় এনে এ সকল গাড়ি বিরুদ্ধে অধিকাংশই মামলা হয়নি। সন্ধ্যার পর দালাল চক্রের মাধ্যমে গাড়ি প্রতি ২/৩ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক দারগা জানান, আমরা দিনের বেলায় রোদ বৃষ্টির মধ্যে ধাওয়া করে অবৈধ গাড়ি আটক করলেও সন্ধ্যার পর স্যার ছেড়ে দেন। বর্তমানে অবৈধ গাড়ি আটকের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. নবী হোসেন খান জানান, ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২/১ টি নসিমন ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তিনি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।