তাড়াশে এক শিক্ষকের ২ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের কেয়া খন্দকার নামের এক শিক্ষক নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ নামের দুই প্রতিষ্ঠানের চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া তিনি আবার নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষর ভাতিজা হওয়ার সুবিধায় ঐ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে আব্দুস সামাদের মেয়ে ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সে সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন। আর ২০১৫ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পান। ঐ বছর জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিজ গ্রাম নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও কলেজের কর্মস্থলে ইস্তফা দেননি। তিনি গ্রামের বাড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল বেলা ক্লাস নিতেন আর দুপুরের পর হতে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতেন। এভাবে বিধিবহির্ভূতভাবে দু'জায়গায় চাকরি করে আসতে থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভীন জানান, আমার জানা নেই যে কেয়া খন্দকার দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন জানান, এক সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অন্যায় ও বিধিবহির্ভূত। বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিফতরের। এ জন্য আমার কিছুই করার নেই। জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আবু সাইদ বলেন, কেয়া খন্দকার আমার ভাতিজী কিন্তু সে কলেজে বেতন এখনও পান না। কিছু সম্মানী ভাতা দেয়া হয়। কলেজ কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে বলেও শিকার করে করেন। এ ব্যাপারে কেয়া খন্দকার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমার যখন কলেজে বেতন হবে। তখন নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দেবো।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।