বাধা কাটলে সিআইএসভুক্ত দেশে রফতানি বাড়বে : বাণিজ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসভুক্ত (সিআইএস) দেশগুলোর সঙ্গে বাধা দূর হলে রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক
জোনে বিনিয়োগ শুরু করেছে। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে গত মঙ্গলবার দেশটির টেঙ্টাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত উজবেকিস্তান টেঙ্টাইল কনফারেন্স ও ৫ দিনব্যাপী গ্লোবাল টেঙ্টাইল ডে'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। বিশ্ববাজারে দিন দিন তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। দেশে একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। উজবেকিস্তানসহ সিআইএসভুক্ত দেশ-আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখাস্তান, কিরগিজিস্তান, আর্মেনিয়া, মলদোভা, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তান বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিছু জটিলতার কারণে উজবেকিস্তানে প্রত্যাশা মোতাবেক বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না। জটিলতা নিরসনে উজবেকিস্তানের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে গত মে মাসে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এর আগে সোমবার উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইলিয়রগানিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইলিয়রগানিয়েভ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে তৈরি করা পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি আমদানি বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী উজবেকিস্তানের চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ফোরামের রাউন্ড টেবিল বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি করা পোশাক ছাড়াও পর্যটন, যৌথ বিনিয়োগ, ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।