টাঙ্গাইলে গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবিরের ৩৬ জনকে আদালতে হাজির
জনতা ডেস্ক
টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবিরের ৩৬ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এ তথ্য জানান। এর আগে গত মঙ্গলবার গোপালপুর ও ভুঞাপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নলিন বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিহাদি বই পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের
নামে গোপালপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা রঞ্জু (৫৪), গাড়ালিয়া গ্রামের মো. হাসেন আলী (৫৫), বেতবাড়ি গ্রামের মহি উদ্দিন (২২), দক্ষিণ গোপালপুরের মো. ফারুক হোসেন (৩০), গাংগাপাড়া গ্রামের মো. আবদুল আজিজ (৪৮), উত্তর গোপারপুরের মো. ইনসান আলী (২০), কোনাবাড়ি গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮), মো. ফরমান আলী (২৮), নূর মোহাম্মদ (৬৪), মো. হেকমত (২৮) ও আশরাফ আলী (৬৭), নবগ্রামের আবদুল মালেক (৬০), বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুল আলিম (৩২), লক্ষ্মীপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৬০), সোনামুই মধ্যপাড়া গ্রামের শিবি্বর আহমেদ (৫৯), গাংগাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া (৫৪), হাজেরাবাড়ি গ্রামের ইউনুস আলী (৩৫), ভূটিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন (৫৫), মধুপুর ভট্ট গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৪৫), বাখুরিয়াবাড়ি গ্রামের আবদুল জলিল (৬০), বেড়াডাকুরি গ্রামের আবদুল সবুর (৭০), খানপাড়া গ্রামের আবদুল কাইয়ুম (৪২), গোপালপুর চরপাড়া গ্রামের সোহাগ (১৯), চাতুটিয়া গ্রামের মাসুদ করিম (৪০), মির্জাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন (২৪), মধ্যমান্দিয়া গ্রামের আশরাফ আলী (৪৪), ঝাওয়াইল গ্রামের আবদুল হাকিম (৭৭), জোতবাগত গ্রামের বিজয় হোসেন (৩০), মোহনপুর গ্রামের নাঈম খন্দকার (৪৪), জোতবাগল গ্রামের রাসেল রানা (২০), সোনামুই গ্রামের ফরহাদ হোসেন (৩০), গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের শাহজাহান (৬২)। ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা চরপাড়া গ্রামের আবদুল আলিম (৩২), পলশিয়া গ্রামের জুলহাস উদ্দিন (৫৬), ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেন (২৭), জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৫)।
পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবিরের লোকজনের দেশের বৃহৎ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতুতে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এর আগে তারা বনভোজনের নামে সেতু এলাকায় রেকি করে। তারও আগে তারা নৌকা ভ্রমণে গিয়ে সরকার উৎখাতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার তারা নাশকতা তৈরির জন্য যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমণে যাওয়ার জন্য উপজেলার নলীন বাজারে একত্র হয়। পরে অভিযান চালিয়ে গোলাম মোস্তফা রঞ্জু, হাসেন আলী ও মহি উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নলিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। তবে এ সময় আরও বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।