পাইকগাছায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
পাইকগাছা থেকে প্রকাশ ঘোষ বিধান
পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। এ হাটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে।
ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। তবে দাম নিয়ে খুশি না কোনো পক্ষই। ক্রেতা বলছেন দাম বেশি আর বিক্রেতা বলছে দাম কম। তবে গৃহস্থদের পালা স্বাস্থ্যসম্মত দেশি জাতের গরু স্থানীয় ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। তবে বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম আর বেশি দামের অজুহাতে ক্রেতা ভিড়ছেও কম।
হাট কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছেন। কোরবানি পশুর হাটে যাতে কেউ রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে তার তদারকি করছে হাট কর্তৃপক্ষ। এ বছর কোরবানির পশুর হাটে দেশীয় জাতের মাঝারি আকারের পশুর চাহিদা বেশি। লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা কম। এ কারণে উন্নত জাতের মোটা তাজাকরণ খামারের পশুর চাহিদা কম।
উল্লেখ্য, উপজেলার চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর হাট, জিরোপয়েন্ট ও বাঁকা বাজারে ৩টি অস্থায়ীসহ মোট ৫টি পশু হাট বসেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গৃহপালিত, খামারি ও ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল সরবরাহ করছে। সেই সাথে ক্রেতা সংখ্যাও বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয়ের জন্য বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করে রাখছে। কোরবানির আগের দিন পশুটি ক্রেতার কাছ থেকে গ্রহণ করবে। হাটগুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফরিয়ারা গরু নিয়ে আসছে।
এসব বাজারে ছোট গরু সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে বিদেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৩৫ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাটগুলো থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান বলেন, খুলনার ১০ জেলার চাহিদা অনুযায়ী খামারগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পশু আছে। অভ্যন্তরিণ উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবেন।
পাইকগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ দফতরের উদ্যোগে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। হাট কমিটির উদ্যোগে বাজার মনিটরিং ও প্রচারের জন্য মাইকের ব্যবস্থা করে ক্রেতাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। কোরবানির পশু বাণিজ্য ঘিরে জালনোট রোধ ও হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন পাইকগাছার থানার পুলিশ।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।