আলহাজ্ব মো. রবিউল হোসেন
মিডিয়া জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হানিফ সংকেত। যেমন নাম, তেমনি চেহারা, চলনে বলনে, কথা ও কাজে জাতীয় চেতনা। মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জুড়ি মেলা দায়। দেশজুড়ে তার সুনাম। শিশু-কিশোর, যুবা বৃদ্ধ প্রত্যেকেরই চেনা নাম। অন্তরের মানুষ যেন 'হানিফ সংকেত'। তোমাকে নিয়ে আজ লিখতে বসে জাতির পক্ষ থেকে জানাই আজ অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ইত্যাদি।
তিন অক্ষরের ইত্যাদি শব্দটা আজ যেন বাক্যে পরিণত হয়েছে দেশের প্রতিটি বিটিভি দর্শক শ্রোতাদের নিকটে। দুটি অক্ষরের শব্দ 'বন্যা' যেমন শব্দ তেমনি বাক্যও। কারণ বন্যা মানে তো অনেক কিছুই। যেমন বন্যা মানে ক্ষতির পাহাড়। বন্যা মানে উপকারের পাহাড়। যে কারণে 'বন্যা' শব্দটি বাক্যে পরিণত হয়েছে।
অনুরূপ বাংলা ভাষায় 'ইত্যাদি' শব্দটি হানিফ সংকেত শেকড় সন্ধানী 'ইত্যাদি' হিসেবে সব মসয়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণ নিয়োজিত মানুষ খুঁজে এনে তাদের কর্মকা- তুলে ধরে দেশপ্রেম ও ভাষা শৈলী প্রতিবেদন বিটিভিতে প্রচার করে যে জন সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেই বহু মাত্রিকতার কারণে তিন অক্ষরের শব্দটি বাক্যে রূপ নিয়েছে 'ইত্যাদি'।
হানিফ সংকেত ও ইত্যাদি, দুটি যেন অবিচ্ছেদ্য এক নাম। ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুলে এনেছেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বদের। দর্শক মহলে যা প্রশংসনীয় হয়েছে। ইত্যাদির প্রতিবেদন যেমন বহুমুখী তেমনি সমাজ সচেতনতায়ও থাকে বহুমাত্রিকতা- মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ মানুষের অনুসন্ধানে 'ইত্যাদি'। ছুটে বেড়ায় সারাদেশে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তুলে আনছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রচারবিমুখ অনেক সৎ সাহসী জনকল্যাণকামী নিভৃতচারী আলোকিত মানুষকে। ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে পাক্ষিক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি অনুষ্ঠান 'ইত্যাদির'। ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে প্যাকেজ অনুষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে ইত্যাদি। ইত্যাদির প্রাণ পুরুষ হানিফ সংকেত লাভ করেন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য 'একুশে পদক' ও পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচারণায় লাভ করেন জাতীয় পরিবেশ পদক।
হানিফ সংকেত রাজনৈতিক মতাদর্শে দূষিত নন। যে কারণে দেশের দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের নিকট তিনি এ পর্যন্ত অভিনন্দিত।
হানিফ সংকেতের অনুকরণে আমার আজকের লেখার বিষয় হলো- মুখে যাই বলি না কেনো 'কিভাবে চলছে দেশটা'? তা নিয়ে ভাবনার মিডিয়ানির্ভর প্রতিবেদন 'ইত্যাদি'। ২৫ জুলাই ২০১৫ প্রথম আলো প্রথম পৃষ্ঠায়ই খবরের শিরোনাম করেছে- মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ম না মানায়, উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রতিবেদক : কামরুল হাসান
পুলিশ বলছে অপরাধীরা অনেক বেশি হারে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার নানা রকম সুযোগ নিচ্ছে এবং পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে একাউন্ট খোলা ও লেনদেনের কারণে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি মোকাবিলায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান বিকাশ জানিয়েছে, এজেন্টদের অনেকে নিয়ম না মানায় গত জুন মাসেই ৯ হাজার এজেন্সি বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে পুলিশ উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে যা হচ্ছে। তার বেশির ভাগই টাকার অবৈধ ব্যবহার সংক্রান্ত আইন (মানি লন্ডারিং) অনুযায়ী অপরাধ। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। এসব প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এক নজরে যে অনিয়মের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে-
গ্রাহক : ২ কোটি ৮৬ লাখ। এজেন্ট : ৫ লাখ ৩৮ হাজার। প্রতিদিন লেনদেন ৪২০ থেকে ৪৩২ কোটি টাকা। এজেন্ট সরাসরি টাকা পাঠাতে পারে না। টাকা পাঠাবেন গ্রাহক। ২য় পর্ব : খবর শিরোনাম-
'টিকিট কিনে বসে আছেন যাত্রীরা, বাস নিয়ে গেছে ছাত্রলীগ'।
প্রতিবেদক, বরগুনা
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নেতারা শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকেলে আকস্মিক বরগুনা ঢাকা পথে চলাচলকারী পাঁচটি বাস নিয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলমুখী কয়েকশ যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রীদের অধিকাংশই এই পাঁচটি বাসে এক সপ্তাহ আগে টিকিট কিনে নিয়ে ছিলেন। শুক্রবার ২৪ জুলাই রাতে যাত্রীদের নিয়ে বরগুনা থেকে এসব বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাস না পেয়ে কয়েকশ যাত্রী বাসের টিকিট হাতে রেখে অপেক্ষায় সময় কাটাতে দেখতে পান প্রতিবেদক।
৩য় পর্ব : প্রতিবেদক বরগুনা
খবর শিরোনাম- 'প্রকাশ্যে শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান'।
খবরে উল্লেখ করা হয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান শিক্ষককে জনসমক্ষে পিটিয়ে জখম ও পরে সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে তার সই রেখে দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। এ শিক্ষকের অভিযোগ, জমি দখলে এই নেতাকে বাধা দেয়ার কারণে তার ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়েছে।
৪র্থ পর্ব : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সাতক্ষীরা জেলাধীন কলারোয়া উপজেলাস্থ উপজেলা শহরে ২৭ রমজান ১৫ জুলাই সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ২ জন নৈশপ্রহরীকে দুর্বৃত্তরা জবাই করে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন এপর্যন্ত হার্ড লাইনে থাকলেও শেষ পরিণতি কী? সেতো আল্লাহ মালুম। খবর শুনে মানুষ স্তম্ভিত। কিন্তু হলে কি হবে নিত্য খুনের ঘটনায় মানুষ যেন অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন কী মর্মান্তিকতা! পাবলিক বলছেন ওরা কারা (খুনিরা)?
৫ম পর্ব : খবর শিরোনাম - মর্মান্তিক?
পুকুরে বিদ্যুতের তার, বাবা, দুই মেয়েসহ চারজনের মৃত্যু।
বাউফল (পটুয়াখালী প্রতিনিধি প্রথম আলো) ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুকরে পড়লে পুকুরে মাছ ছটফট করে মরতে দেখে মাছচাষি আবদুল হাই রাঢ়ী (৫৫) পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মাছ দেখতে গেলে বিদ্যুতের তার স্পর্শ করে পানিতে ঢলে পড়ে। উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় দুই মেয়ে, দিনা (২২) ও মহুয়া মৌ (২০)। পানিতে নামলে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপর ঐ তিন জনকে উদ্ধার করতে ভগি্নপতি ইব্রাহিম শিকদার (৬০) পুকুরে নামেন। পরে তাদের চারজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা জানতে পেরে ছুটে যান। আইন ব্যবস্থা নিলে প্রশাসন সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
কিন্তু চারটি জীবনতো ঝরে গেল অকালেও চোখের পলকে। একি কল্পনা করা যায়? কিভাবে চলছে দেশটা?
৬ষ্ঠ পর্ব : ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাগুরায় গুলিবিদ্ধ মা ও নবজাতকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়া কারিগর পাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ প্রসূতি ও নবজাতকের অবস্থা এখনো সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৭ম পর্ব : খবরের শিরোনাম করেছে প্রথম ২৫ জুলাই, রাজউক ভবনে টেন্ডারবাজি
যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী রিমান্ডে।
খবরে উল্লেখ করা হয়েছে-
রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ভবনে 'টেন্ডারবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। র্যাব বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
৮ম পর্ব : ২৬ জুলাই ২০১৫ বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরের শিরোনাম করেছে যথাক্রমে-
শিমুল মাহমুদ : মহাসড়কে কেন মৃত্যুর মিছিল ১১ দিনে নিহত ২৪৯ জন।
২৫ জুলাই এটিএন (বাংলাদেশ টেলিভিশন) রাত দশটার খবরেও আড়াই শতের মতো নিহতের খবর প্রকাশ করেছে। গন্তব্যে বের হয়ে কে কোথায় লাশ হয়ে ঘরে ফিরবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ঈদুল ফিতরের উৎসবের আগেও পরে ১১ দিনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। যা প্রতিদিন গড়ে ২২ জনের বেশি। পাবলিক বলছেন আমরা কোন দেশে বাস করছি? প্রাক্তন ছাত্র ওষুধ বিক্রেতা রাকিব হোসেন, ডা. মো. শফিউল্লাহ প্রশ্ন করলেন, খবরে দেশের উন্নয়নের কথা শুনি বটে। শুনি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অথচ জাতীয় নানা কেলেঙ্কারির কথা যখন শুনি তখন তো ভাবতে কষ্ট হয় কীভাবে দেশটা এগুচ্ছে?
৯ম পর্ব : খবর শিরোনাম- 'উদ্ধার হয়নি হলমার্কের টাকা। তিন বছরেও সমাধানের নেই বড় অর্থ কেলেঙ্কারির'।
মানিক মুনতাসির : তিন বছরেও কোনো সুরাহ হলো না সোনালী ব্যাংকের আলোচিত অর্থ জালিয়াতির ঘটনা হলমার্ক কেলেঙ্কারির। ২০১০ ও ২০১২ সালের মে পর্যন্ত আত্মসাৎ হওয়া সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আজও ফেরত পায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। অনেক দেন দরবার করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে মাত্র ৪১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন হলমার্ক গ্রুপ। এদিকে আত্মসাৎ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে হলমার্কের কর্ণধার তানভীর মাহমুদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১০ম, পর্ব : খবর শিরোনাম- 'কোনো অর্থ ফেরত পাননি ডেসটিনি, যুবকের গ্রাহকরা'।
আলী রিয়াজ : বছরের পর বছর গেল। এক টাকাও ফেরত পাননি ডেসটিনি ও যুবকের প্রতারিত গ্রাহকরা। এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনির প্রায় ৪৫ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এর কর্মকর্তারা এখন বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শুধু প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন এখনো জেলে রয়েছেন। আর যুবকের ৩ লাখ গ্রাহক ও বছরের পর বছর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ফেরত পাননি এক টাকাও। জানা গেছে, বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করলেও সরকারের জিম্মায় রয়েছে মাত্র ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে সিলড হিসেবে আছে ২০০ কোটি টাকা এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে রয়েছে জমি। কলকারখানা ও ভবন। যার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। তবে ডেসটিনি তাদের আত্মসাতের বেশির ভাগ টাকাই মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
-২৬ জুলাই, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
১১তম : 'ভোটার তালিকা তৈরিতে ইসি ব্যর্থ'-দাবি সুজনের।
১২তম : প্রতিবেদন সাঈদুর রহমান রিমন (২৬ জুলাই)
খবরের শিরোনাম করেছে-
ফুটপাত ঘিরে মহা বাণিজ্য
ঈদ মৌসুমের অস্থায়ী দোকান নিমিষেই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে।
১৩তম : তানোরে ৯৫০ খাস পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে, কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
১৪তম : ঘুষ নেয়ায় ঈশ্বরদীতে ৬ পুলিশ প্রত্যাহার।
১৫তম : আশার বাণী শুনালেম, ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী বললেন [ ২৫ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে] ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়।
বলাবাহুল্য দেশজুড়ে সর্বত্রই প্রায় হতাশার কথা।
অর্থলোপাট, খুন-যখম, জবরদখল, সন্ত্রাসের ভাইরাস জ্বরে জাতি যখন আক্রান্ত সেই মুহূর্তে হানিফ সংকেতের সুসংবাদে দিলটা একটু নড়েচড়ে ওঠে বৈকি। প্রধানমন্ত্রীও ভালো কথা শুনালেন বৈকি।
যেমন : জীবনযুদ্ধে সফল এক প্রতিবন্ধী।
১৯৯০ সাল থেকে বাড়িতে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। জহিরুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর সহশ্রাম গ্রামে হয়ে উঠে একটি পাঠশালা। ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে ৯টি ব্যাচে পড়াতে থাকেন শারীরিক প্রতিবন্ধী জহিরুল। এটাও কি কল্পনা করা যায়?
রিকশাচালক থেকে শিক্ষক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন-বর্তমানে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের একজন ড্রাফট ইন্সট্রাক্টর। ২০১৪-২৬ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ হয় ইত্যাদিতে।
অনুকরণীয় এক চেয়ারম্যান!
এক সময়ের শিক্ষক। পরে দেশের উত্তর প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান, আবদুল হাই মাস্টার শুধু অফিসিয়াল দায়িত্বই পালন করেননি। বরং শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা হয়ে ঝাড়ু হাতে নিয়ে রাস্তাঘাটে নর্দমা পরিষ্কার করেছেন। রাস্তা সংস্কারও করেছেন- ইত্যাদি। দেশে ভালো মানুষেরও অভাব নেই। অভাব যেটা সেটা হলো দেশে যাদের অবস্থান উচ্চস্তরে। যাদের হাতে উচ্চ ক্ষমতা। যাদের হাতে নতুন প্রযুক্তি। যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। যাদের হাতে প্রশাসন তারাই যদি হন বে-আড়া তাহলে দেশের সৎ জন কানা মানুষ, 'বৃদ্ধের স্বপ্ন বাড়ি নির্মাণ, একই স্কুলে দফতরি থেকে প্রধান শিক্ষক', নিখিল-কৃষ্ণের সংস্কৃতি লালন-'ইত্যাদির' এ সকল বৈচিত্র্যপূর্ণ জাতীয় সুখবর দেশের উন্নয়নের জন্য যাদের হাতে মূল চাবিটা তাদের চৈতন্য উদয় হবে কী?
তাহলে আজ পর্যন্ত এক টাকাও ফেরত পাননি কেনো ডেসটিনি ও যুবকের প্রতারিত গ্রাহকরা?
ছাত্রলীগের দাপটে দেশ ও জাতি আজ মর্মাহত-কেনো?
কেনো এতো খুন, যখম ও অর্থ লোপাটের গল্প শুনতে হয় মানুষের মুখে মুখে?
তাহলে কিভাবে বলবো। এ সরকার জনগণের সরকার? সরকার বহু ভালো কাজ করলেও সুনাম মস্নান হচ্ছে কিভাবে? মস্নান করছেন কারা? দেশ উন্নয়নের এক নম্বর এজেন্ডা হোক এই বিষয়টি নিয়ে। তবেইতো মানুষ বলবেন, ভালোই চলছে দেশটা। অন্যথায় ভেস্তে যাবে সকল উন্নয়ন ও ভালো কাজের সুনামের কথা। অতএব, গণতন্ত্রের বিকাশ ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন। সকল অরাজগতা প্রতিরোধে তাই সরকারের আদর্শ হওয়া উচিত নয় কী। 'Government of the people by the people for the people? আব্রাহাম লিঙ্কন।
আলহাজ্ব মো. রবিউল হোসেন : সাংবাদিক ও কলামিস্ট