গীতার পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে!
জনতা ডেস্ক
মধ্য প্রদেশের এক দম্পতি পাকিস্তানের আশ্রয়কেন্দ্রে বেড়ে ওঠা পরিচয়হীন মূক বধির গীতাকে নিজেদের মেয়ে বলে দাবি করেছে। তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এ সম্পর্কে রাজ্যের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত ত্রিপাথি বলেছেন,'আনার দেবী নামে এক নারী নিজেকে গীতার মা বলে দাবি করেছেন। তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।' আনার দেবী ও তার স্বামী রামরাজ গৌতমের বাড়ি মধ্য প্রদেশের থাম্মোহাল গ্রামে। তাদের দাবি, করাচির আশ্রয়কেন্দ্রের গীতা তাদের হারানো মেয়ে সবিতা। ২০০৪ সালে চার বছরের সবিতা বিহারের চাপরা জেলা থেকে হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় তারা স্থানীয় এক পুলিশ স্টেশনে রিপোর্টও করেছিল। ১৪ বছর আগে নয় বছরের গীতাকে খুঁজে পেয়েছিল পাকিস্তানের পাঞ্জব প্রদেশের সীমান্ত রক্ষীরা। তারা তাকে স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইদি ফাউন্ডেশনের কাছে তুলে দেয়। সংস্থার করাচি শাখার এক আশ্রয়কেন্দ্রে বেড়ে ওঠে মেয়েটি। তারা তার নাম দেয় গীতা। তবে অনেক চেষ্টার পরও মেয়েটিকে তাদের পক্ষে নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইদির ধারণা গীতা ভারতের নাগরিক এবং ভুল করে সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে এসেছিল। বর্তমানে তার বয়স ২৩। সমপ্রতি বলিউডের 'বজরঙ্গি ভাইজান' চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর লাইম লাইটে আসে মূক বধির গীতার করুণ কাহিনী। গীতার কাহিনী জানার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে পাঞ্জাব, বিহার, ঝাড়খ- ও উত্তর প্রদেশের চারটি পরিবার গীতাকে তাদের মেয়ে বলে দাবি করেছে।