নেপালে নতুন সংবিধান প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো রাজনৈতিক দলগুলো
কাঠমান্ডু থেকে বাসস
নেপালের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ফলে একটি নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত হল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত এপ্রিলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো জুন মাসে দেশকে আটটি প্রদেশে বিভক্ত করা সংক্রান্ত একটি ঐতিহাসিক চুক্তির ব্যপারে একমত হয়। তবে রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্ধারণের গুরুদায়িত্ব একটি ফেডারেল কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি'র খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলার পর শনিবার মধ্যরাতের পর নতুন এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আলোচনা চলাকালে ২০০৮ সাল থেকে সনদ প্রনয়নে অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় ধরণের সমস্যার সমাধান হয়েছে। নতুন চুক্তির ফলে রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কমিশনের আর ভূমিকা থাকবেনা।
প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা এক টুইটার বার্তায় বলেন, 'সংবিধানে ফেডারেল বৈশিষ্ট্য ও সীমানা নির্ধরণ নিশ্চিত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'সামান্য যে মতানৈক্য রয়েছে তাতে অটল না থেকে দেশ গঠন ও উন্নয়নে কাজ করার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।' তথ্যমন্ত্রী মীনেন্দ্র রিজাল বলেন, গত রাতে চুক্তিটি হয়েছে এবং এর ফলে সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া একধাপ এগিয়ে গেল। গত মাসে নেপালে দফায় দফায় গণসংলাপের পর এ চুক্তি হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে সহিংসতা আলোচনাকে মস্নান করে দেয়।
রিজাল বলেন, 'আমরা জনগণের অবস্থান বোঝার এবং সংঘাতময় প্রতিক্রিয়ায় ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেছি।'
বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল এমনভাবে প্রদেশ গঠন করতে হবে যা মাধেসিসের মত ঐতিহাসিকভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য সহায়ক হয়। বেশ কয়েকটি পার্টি আবার এর সমালোচনা করে বলে, এতে জাতীয় ঐক্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। আলোচনার মাধ্যমে প্রদেশের সংখ্যা ছয়টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং নতুন চুক্তির আওতায় প্রত্যেক প্রদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক শক্তি ভারতের সীমান্ত থাকবে। চুক্তিতে সন্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বাবা-মা উভয়কেই নেপালের নাগরিক হতে হবে এমন বিতর্কিত শর্তের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে মা কিংবা বাবা যেকেউ নেপালের নাগরিক হলে তাদের সন্তান ওই দেশের নাগরিকত্ব পাবে।