বিজিবি প্রধানের দাবি
ভারতের গরু না আসলেও কোরবানিতে সঙ্কট হবে না
স্টাফ রিপোর্টার
বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের কেউ সীমান্তে গরু পাচারে যুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভারতের গরু ছাড়াই আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুর সঙ্কট হবে না।
ভারতের রাজধানী নয়াদিলি্লতে বিজিবি-বিএসফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু পাঠানোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করার ফলে এদেশের বাজারে গরুর মাংসের দাম অসহনীয় বেড়ে গেছে। তবে বিজিবি প্রধান বলছেন, তারা একে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন।
গতকাল রোববার সকালে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজিজ আহমেদ বলেন, 'বিএসএফ আমাদের তো আর অফিসিয়ালি বলতে পারে না যে, বাংলাদেশে গরু বিক্রি করা হবে না। আমরাও বলতে পারি না আপনার সীমান্ত ছেড়ে দেন, বাংলাদেশে গরু আসুক। দেশটি বাংলাদেশে গরু রফতানি নিয়ে কঠোরতা অবলম্বন করছে। আমরাও বিকল্প ভাবছি।'
তিনি বলেন, 'বিএসএফ ডিজি শ্রী ডি কে পাঠক দাবি জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে বাংলাদেশের কোনো রাখাল যেন অবৈধভাবে সীমান্ত পার না হয়। বিজিবি'র পক্ষ থেকে আমরাও জানিয়েছি, বাংলাদেশের কোনো রাখাল অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে দেয়া হবে না। যদি কেউ যায় তাহলে বিএসএফ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।'
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, 'দেশে ২২ লাখ গরু কোরবানিতে জবাই হয়। ভারত সরকারের কঠোরতায় প্রাথমিকভাবে সমস্যা হলেও এবার তা হতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। দেশে গরু উৎপাদন করে এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নিয়েছে সরকার। আমরা আশা করছি ভারতের গরু ছাড়াই ঈদে কোরবানির গরুর সঙ্কট হবে না।'
তিনি বলেন, 'গরু আনতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অনেক সময় সীমান্তে হত্যা হয়। আমরা চাই না বাংলাদেশি কোনো রাখাল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করুক। তা বন্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।' এর আগে দিলি্লতে বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, ভারতের গরু আসা বন্ধ হলে তাতে বাংলাদেশের লাভই হবে। এতে খামারিরা গরু চাষের মাধ্যমে দেশকে স্বাবলম্বী করবেন। গত ৩-৭ আগস্ট নয়াদিলি্লতে বিজিবিও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ডি কে পাঠকের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সম্মেলনে গরু চোরাচালান, সীমান্ত হত্যাসহ মোট ৯টি বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।