অটোরিকশা-টেম্পু মালিকদের একগুচ্ছ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
মহাসড়কে অটোরিকশা-অটোটেম্পু চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে মালিক-শ্রমিক ও চালকদের স্বার্থ রক্ষায় পুলিশ ও রাজনীতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি বন্ধসহ একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন অটোরিকশা-টেম্পু মালিক-শ্রমিকরা।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ অটোরিকশা অটোটেম্পু সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পরিকল্পিত ও আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনায় সড়ক ও মহাসড়কে ডিভাইডার নির্মাণ, আলাদা লেন তৈরি। ঢাকা মহানগরে চালকদের নামে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার অটোরিকশা অনতিবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, মহানগরে অটোরিকশা চলাচলে বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য সরকার নির্ধারিত জমা গ্রহণে মালিকদের বাধ্য করা।
অটোরিকশা রাখার স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা, লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে বিআরটিএ'র দুর্নীতি-হয়রানি বন্ধ করা, অটোরিকশা-অটোটেম্পু রিক্যুইজেশনের সময় গাড়ি চালকদের বেতন খোরাকী দেওয়া, আঞ্চলিক পরিবহন কমিটিতে অটোরিকশার প্রতিনিধি রাখা।
চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়া ও দক্ষ চালক তৈরিতে সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া, গাড়ি ছিনতাই ও শ্রমিক হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ, চেকপোস্টে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি নির্যাতন-হয়রানি, মামলা-হামলা ও গুলিবর্ষণ বন্ধ এবং গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা প্রশাসনিক হুকুম মাত্র। যা কেবিনেটে বা মন্ত্রী পরিষদে আলোচনা হয়নি। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অনুমোদনও দেননি।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক বলে অভিযোগ করে বলা হয়, চালক-মালিক যাত্রীদের কথা বিবেচনায় না এনে সড়ক দুর্ঘটনার অযুহাতে মহাসড়ক থেকে গাড়ি সরালে দুর্ঘটনা কমবে না। সড়ক দুর্ঘটনা নানা কারণে হয়ে থাকে। একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার সমাধান হবে না, জটিলতা বাড়বে মাত্র। এক প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, এখনো অনেক সময় আছে। আমরা আশা করি, সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে। যদি সমস্যার সমাধান করা না হয়, তা হলে জীবন ও জীবিকার তাগিতে আমাদের যা যা করা দরকার তাই করবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ অটোরিকশা-অটোটেম্পু সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. গোলাম ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. ফুল মিয়া, মৌলভীবাজার শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি পাভেল মিয়া, গাজীপুর জেলা অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ সচিব কামরুল হাসান, বাড্ডা থানা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মজিবর রহমান, রামপুরা থানা অটোরিকশা শ্রমিক কমিটির সম্পাদক মো. কবির হোসেন প্রমুখ।