সুন্দরগঞ্জে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদপূর্ব এবং পরবর্তী ১৫ দিনের ব্যবধানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ছেলেমেয়ের বাল্যবিয়ে হয়েছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, সম্প্রতি ঈদপূর্বক এবং পরবর্তী ১৫ দিনের ব্যবধানে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কমপক্ষে ১৫০টি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। যে সব মেয়ের বিয়ে হয়েছে তারা ৫ম শ্রেণী হতে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরে ১০২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিটি স্কুল ও মাদরাসা হতে গড়ে ২ জন করে ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলকা মজিদ পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন, পাঁচগাছী শান্তিরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, পঞ্চানন্দ আর ইউ দাখিল মাদরাসার ৪ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্টারদের (কাজি) সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে পাওয়া জন্মসনদের ভিত্তিতে বিয়ে রেজি. করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমরা জনপ্রতিনিধি। জনগণের মন রক্ষা করার স্বার্থে বয়স বাড়িয়ে দিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্মসনদ দিতে হয়। তা না হলে আমরা জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারবো না। শিক্ষক সমাজের দাবি এখন ছেলে মেয়েরা রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেন। সেই সনদে তাদের বয়স নির্ধারণ হয়ে থাকে। চেয়ারম্যানগণ সনদের সেই জন্মতারিখ কিভাবে পরিবর্তন করে তা আমাদের বোধগম্যের বাইরে। বাল্যবিয়ে রোধে সরকারের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে নারী শিক্ষা ভেস্তে যাবে।