সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি নেই
মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মাধবদীবাসী
মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
মাধবদী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনা অপরিচ্ছন্নতা ও স্বেচ্ছাচারিতায় রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সেবার পরিবর্তে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাছাড়াও এখানকার অনেক ক্লিনিকে কোনো এক সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাপ্তাহে একদিন আসতেন সে সাইনবোর্ড আজো ঝুলছে। অনভিজ্ঞ ডাক্তার ও ট্রেনিং ছাড়া নার্স দ্বারা চলছে চিকিসার নামে রোগীদের পকেট কাটার ব্যবসা।
এ অবস্থা প্রায় সবগুলো প্রাইভেট হাসপাতালে দীর্ঘদিন চলে আসলেও সিভিল সার্জন কার্যালয় বা নিবন্ধন শর্ত মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই। রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার মোহ এমনভাবে তাদের মধ্যে কাজ করে যে রোগী চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে কিনা তা তাদের দেখার সময় নেই। অনেক সময় রোগীকে বলা হয় এখানে এ অসুধ পাওযা যায় না ঢাকা থেকে আনতে হবে তাড়াতাড়ি টাকা জমা করেন লোক পাঠিয়ে আনতে হবে। রোগীর সাথে আসা স্বজনরা টাকা জমা করার পর দীর্ঘ সময়েও ডাক্তার আসে না। এ ক্ষেত্রে ডাক্তার কখন আসবে জানতে চাইলে বলা হয় ডাক্তার ঢাকায় এক হাসপাতালে অপারেশনে ব্যস্ত আছেন। শেষ হলেই চলে আসবেন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মাধবদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ঈদুল ফেতরের পর কুমিল্লা থেকে মাধবদীর নওপাড়া ভুঁইয়া বাড়িতে বেড়াতে আসা সুরাইয়া বেগম নামের এক মহিলার বেলায়।
টাকা জমা করে দীর্ঘ সময় ডাক্তার না পাওয়ায় পেটের ব্যথায় মূর্ছা গেলে কর্তব্যরত এক ডাক্তার এসে রোগী দেখে বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা যা ছিল তা নার্স আমাদের পরামর্শক্রমেই এতক্ষণ দেয়া হয়েছে এখন আমাদের আর কিছু করার নেই। এম্বুলেন্স ভাড়া দেন সাথে লোক দিয়ে ঢাকা নিয়ে যান। এমনই সেবা দেয়া হয় এখানকার হাসপাতালে।
তাছাড়াও ক্লিনিকগুলোর মেঝে, ফ্লোর, সিঁড়ির এবং বেডের অবস্থা অত্যন্ত নোংরা ও অপরিষ্কার স্যাঁতসেঁতে স্বাসকষ্ট ও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার বিপরীতে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ অবস্থায় রোগীর হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা এবং সার্বিক অব্যস্থপনার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।