খুলনার নদী-খালে ৪৬০ দখলদার চিহ্নিত
খুলনা থেকে বি এম রাকিব হাসান
খুলনা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন তিনটি উপজেলায় ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালে ৪৬০ দখলদার ও ৩৮২টি অবৈধ স্থাপনা চূড়ান্তভাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। পানি নিষ্কাশনের ভূমি, নদী ও খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলমুক্তসহ পানি চলাচল নিশ্চিত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
মহানগরী ও তৎসংলগ্ন উপজেলাসমূহের পানি নিষ্কাশনের সঙ্গে জড়িত ভূমি, নদী ও খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও দখলমুক্তসহ পানি চলাচল নিশ্চিত করার জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হলো_টেকনিক্যাল কমিটি, বাস্তবায়ন ও পুনরুদ্ধার কমিটি এবং বাস্তবায়ন ও পুনরুদ্ধার উপদেষ্টা কমিটি। টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা ও তৎসংলগ্ন তিনটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ময়ূর নদীসহ ২৬টি খাল/নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখলদারদের তালিকা প্রণয়নে চারজন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার/প্রতিনিধির সমন্বয়ে ছয়টি সাব-টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।
সাব-টেকনিক্যাল কমিটিগুলো চার মাস কাজ করে মহানগরী ও তৎসংলগ্ন তিন উপজেলায় সিএস ম্যাপ অনুসরণ করে ২৬টি খাল ও নদীর সীমানা চিহ্নিত, দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন, সীমানা পিলার স্থাপন এবং স্কেচ ম্যাপ তৈরি করে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬০ জন দখলদার এবং ৩৮২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিআইডবিস্নউটিএ ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী মহানগরী এলাকায় যৌথ জরিপকৃত ভৈরব ও রূপসা নদীর চারটি (বানিয়াখামার, হেলাতলা, টুটপাড়া ও লবণচরা) মৌজায় নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হয়েছে এবং ১ হাজার ১৫৪ জন দখলদারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী-খাল উদ্ধার করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স রয়েছেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, 'তার নির্বাচনি ইশতেহার ছিল দখলদার উচ্ছেদ। সেই কাজই করা হবে। এটি করা অনেক কঠিন। এই কাজ সম্পন্ন করা হবে যেভাবেই হোক। কোনোভাবেই দখলদারদের ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া দখলদারদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।' খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দখলদারদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনও ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।'
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।