গাজীপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও ওসির প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদিক সম্মেলন
গাজীপুর থেকে রাহিম সরকার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় দায়িত্ব পালনের সময়, গাজীপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের অসহযোগিতা, আসামিদের সাথে সখ্যতাসহ নানা অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদিক সম্মেলন করেছেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গাজীপুর শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়াম সংলগ্ন গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় তিনি ওসি'র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতার না করা, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপরাধকে প্রশ্রয়দেয়াসহ নানা অভিযোগ করেন। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুদ রানা এরশাদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন তার বড় ভাই কাজী আজিমদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি ও যুবলীগ নেতা লিয়াকত হোসেনকে দলিয় দায়িত্ব পালনের সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী, মেয়র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি ও গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে ওসি সমীরের প্রত্যাহরের দাবি জানিয়ে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। সংবাদিক সম্মেলনে নাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকার ছয়টি প্রতিষ্ঠানের অবৈধভাবে ডিস ব্যবসা দখল করে ও কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন সময় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। ওইসব ডিস ব্যবসার মালিকগণ থানার ওসি সমীরের নিকট লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনোরকম ব্যবস্থা না নেয়ার কথা জানান। সংবাদিক সম্মেলনে এরশাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ভুক্তভোগী সুমন রাজ বর্মণ, আলী হোসেন, জহিরুল হক, মমিনুর রহমান মিতু, শহীদুল আলম ও মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এরশাদের উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্য, ভিত্তিহীন। লিয়াকত হত্যা মামলায় এজাহার নামিয় ১৪ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।