সারা দেশের সঙ্গে আগামী ১৪ জুলাই একযোগে রাজধানীতে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে রাজধানীতে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচি সফল করতে ৪ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ও
রোববার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সাংবাদিক কর্মশালার আয়োজন করে।
দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার ৮ ৮৭ হাজার ৩৫২ জন শিশুকে ভিটামিন 'এ' খাওয়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই সিটির পক্ষ থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
দুই সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ডিএসসিসিতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী ৪৫ হাজার ২৯২ শিশুকে ১ লাখ আইইউ ক্ষমতাসম্পন্ন নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১১ হাজার ৮২৫ শিশুকে ২ লাখ লাল রঙের ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন। আর ডিএনসিসিতে ৬-১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫ জন শিশুকে ১ লাখ আইইউ ক্ষমতাসম্পন্ন নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ জন শিশুকে ২ লাখ লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ঐ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৯৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়াবেন। আর এসব কার্যক্রম তদারকি করবেন ২৯২ জন সুপার ভাইজার ও কর্মকর্তা। দুই সিটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন 'এ' সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন 'এ' চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এবং শিশু মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
গত রোববার ডিএনসিসি'র সাংবাদিক কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন-ডিএনসিসি'র সচিব (অতিরিক্ত সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন প্রমুখ।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।