শরীয়তপুরে মাদক মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে শরীয়তপুরের পুলিশ মাদক মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে, যাকে চার দিন আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। নিহত কালু সিকদার সদর উপজেলার খেলসী বিলাসখান গ্রামের সিরাজ সিকদারের ছেলে।
গতকাল সোমবার ভোরে সদর উপজেলার শরীয়তপুর- মাদারীপুর মহাসড়কের কাশীপুর বটতলা এলাকা থেকে কালুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পালং থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান। জেলার পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন বলছেন, কালু একজন মাদক বিক্রেতা; তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক চোরাচালানের চারটি এবং অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ কালুকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল বলে তার পরিবার অভিযোগ করলেও পুলিশতা অস্বীকার করেছে। নিহতের চাচা সেলিম শিকদার বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর পৌরসভার খেলসী গ্রামের খোকন শাহর বাড়ির সামনে থেকে কয়েকজন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কালুকে ধরে নিয়ে যায়। পরিবার বলছে, ওই রাতে পালং মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা অফিসে কালুর খোঁজ করতে গেলে এ নামে কাউকে ধরে আনা হয়নি বলে জানানো হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কালুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিহতের ভগি্নপতি সুরুজ শিকদার বলেন, কালুর সন্ধান না পেয়ে আমরা পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। গত সোমবার সকালে খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে কালুর লাশ শনাক্ত করি। কালুর মা শান্তি বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর চাদসার গ্রামের রাশেদ সরদার আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। সে বলে, টাকা দিলে সে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে এনে দেবে। আমরা টাকা দিইনি বলে আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে রাশেদ সরদার বলেন, কালুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তার বাড়ির লোকজন আমার কাছে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়েছি। কোনো টাকা-পয়সা চাইনি। কালুকে আটকের কথা অস্বীকার করে পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন বলেন, কালুকে কেউ ধরে আনেনি। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিল। মাদক ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। সাধারণ ডায়েরি না নেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, কালুর বাড়ির কেউ থানায় আসেননি।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।