তানোরে খাস সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে লাটুর বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। সমপ্রতি স্থানীয়রা ডাকযোগে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজম্ব) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের প্রাণপুর (পাঠাকাটা) গ্রামের আকবর হাজীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে লাটু গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে প্রাণপুর মৌজার আরএস ২০২ নম্বর দাগের এক একর ১৭ শতক সম্পত্তির ওপর পুকুর খনন করেছেন। এই সম্পত্তির মধ্যস্থলে আরএস খতিয়ানভুক্ত মোট ৬৯ শতক সম্পত্তি সরকারি খাস শ্রেণীভুক্ত রয়েছে। আর এসব খাস সম্পত্তি নিজের দখলে নিতে লাটু অভিনব কৌশল অবলম্বন করে ওই সম্পত্তি চারদিকে খনন করে পুকুরে পরিণত করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২১৩ সালের ৫ জুন লাটু তার লোকজন নিয়ে ওই খাস সম্পত্তির ওপর থেকে একটি শতবর্ষী পাইকড় ও ৮টি তালগাছ কেটে হজম করেছে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ভূমি অফিসে একটি অভিযোগও (মামলা) দায়ের হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় ভূমি অফিসের ১৩০ নম্বর স্মারকে ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) লাটুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি খাস সম্পত্তিত্বে পুকুর খননের অভিযোগে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) ২৪ নম্বর স্মারকে লাটুর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ঘটনার পরে পুকুর খনন কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখে। কিন্তু সমপ্রতি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতার মদদে লাটু ওই সম্পত্তি পুকুরে পরিণত করেছেন। এ বিষয়ে গ্রামবাসী সরেজমিন তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে ২৯ জুন সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে খাস সম্পত্তির কোনো চিহ্ন নেই পুরোচাই পুকুরে পরিণত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন (ইউপি) ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) আব্দুস সাত্তার বলেন, ইতিপূর্বে ঘটনার তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি অফিসে দাখিল ও খাস সম্পত্তির ওপর পুকুর খনন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে ওই সম্পত্তির কি অবস্থা সেটা তার জানা নেই।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান মিজান ওরফে লাটু বলেন, তিনি পুকুর খননের সময় জানতে পারেন এখানে সরকারি খাস সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে কাগজপত্র ঠিকঠাক করে তিনি পুকুর খনন করেছেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।