বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দক্ষিণের পথে ঈদযাত্রা
জনতা ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। গতকাল বুধবার পবিত্র শবেকদরের সরকারি ছুটি থাকায় সন্ধ্যা থেকেই নাড়ির টানে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ছুটছেন সবাই। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পুলিশ, র্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার অফিস সময় শেষ হওয়ার পর পরই সন্ধ্যা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথ হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। বিকেল থেকে এই পথে টানা বৃষ্টি শুরু হলেও সন্ধ্যায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলে সপরিবারে যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে যাত্রীর চাপ আরো বাড়ে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ বলেছেন, ঘাটে শতাধিক পুলিশ, অর্ধশতাধিক আনসার ও আর্মড পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের দল রয়েছে। দুটি মোবাইল টিম সব সময় সতর্ক থাকবে। আমরা এখানে মোটামুটি ওয়ান ওয়ে ইনকামিং ও ওয়ান ওয়ে আউটগোয়িং নিশ্চিত করেছি। একই সঙ্গে আমরা গাড়িগুলোর স্টিকারের ব্যবস্থা করেছি যাতে অযাচিত গাড়ি না চলে আসে। লঞ্চ ও স্পিডবোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি, যদি আবহাওয়ায় খুব বেশি সমস্যা না হয় তাহলে আমরা একটি সুন্দর ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারব। এদিকে, শিমুলিয়া ঘাট হয়ে গতকাল বুধবার ভোর থেকেই প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। সকালে ঘাটে সাত শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডবিস্নউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
বিআইডবিস্নউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গতকাল বুধবার ভোর থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ঘাট এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে সাত শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ও ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি রয়েছে। ২০টি ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। একসঙ্গে গাড়ি আসায় একটু সময় লাগছে। সকাল থেকে প্রায় হাজারের মতো মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার পার হয়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে আগে প্রাধান্য দিয়ে পারাপার হতে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের যানবাহনের চাপ কম থাকলে পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে চারটি ঘাট দিয়ে। বেনাপোলগামী যাত্রী মিথুন সাহা অপু বলেন, সকালে স্পিডবোটে করে পার হয়েছি, ২০০ টাকা নিয়েছে। বোটগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী নিচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িতে অপেক্ষা এবং ফেরি ছাড়তে সময় লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।