সৌভাগ্যবশত যাঁরা মহৎ হয়ে জন্মে থাকেন সে হিসেব আমার জানা নেই। তবে জগতের মহান ব্যক্তিদের নিজের কীর্তি বলেই পরিচিত হতে শুনেছি অনেক। তাঁদের না করা যায় ঈর্ষা, না করা যায় ভয়। তাঁরা শুধু সম্মানের আসনেই সমাহিত থাকেন। অবশ্য জ্ঞানী লোকেরাই তাঁদের মূল্য বোঝেন।
জগতের মহান ব্যক্তিগণ নিজের ক্ষতিসাধন করে, সর্বস্ব জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও আশ্রিত বা দুর্বলকে রক্ষা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সমাজের আশ্রিতরা বা দুর্বলরা সব সময়ই আশ্রয়দাতার খড়গের
শিকার। আর জাতির সম্মান ভূলুণ্ঠিত হলেও তা প্রতিহত করতে সহৃয়ের সচেষ্টাও আজকাল অনেকটাই অদৃশ্য। অথচ জাতির অপমান সহ্য করা মহত্ত্বের লক্ষণ নয়। দায়িত্ববানদের স্বার্থপরতা, সংকীর্ণতা, পরশ্রীকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষে সমাজ আজ কলুষিত। অশান্তি, অরাজকতায় ছেয়ে গেছে বিশ্ব। মহত্ত্বের অভাব বড়ই প্রকট।
পুনশ্চ ঃ মার্কিন লেখক ডেল কার্নেগি বলেছেন, 'একজন ব্যক্তির মহত্ত্ব বোঝা যায় অধস্তনদের সাথে তার ব্যবহার দেখে। সেই মার্কিন মুল্লুকের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই আজ অন্যায় কর্তৃত্বের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। অধস্তনদের প্রতি সমীহ প্রদর্শন আজ প্রায় বিলুপ্ত। আমরাও তা থেকে আলাদা নয়।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।