কিশোরগঞ্জ থেকে মো. নাজিম উদ্দিন
আবহমান কাল থেকে বাঙালি রমণীদের প্রথম পছন্দের পোশাক শাড়ি। সময়ের বিবর্তনে সেই শাড়িতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের বাহারি শাড়িতে মুগ্ধ এখন বাঙালি রমণীরাও। পোশাক সচেতন রমণীরা খুঁজে ফেরেন কারুকার্য খচিত রং বেরংয়ের শাড়ি। হরেক রকমের নকশী করা এ রকম শাড়ি তৈরি হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায়।
ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার দ্বিপেশ্বর, শাহেদল, দাপুনিয়া, রহিমপুর, চরপুমদি, লতিফপুর, গ্রামের কয়েক দুই শতাধিক নারী শ্রমিক নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী শাড়িতে কারুকাজ নিয়ে।
নারীদের সহায়তা করছেন পরিবারের পুরুষসহ সবাই। কিশোরগঞ্জ জেলার চাহিদা মিটিয়ে কারুকাজ করা শাড়িগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। সরকারিভাবে আর্থিক সুযোগ পেলে এ শাড়িসহ কারুকাজ করা মানসম্মত থ্রি পিস দেশের বাইরেও রফতানি করা সম্ভব। সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা ও অর্জিত হতে পারে সম্ভাবনাময় এ কারুকাজ খাত থেকে।
উপজেলার দ্বিপেশ্বর গ্রামের নারী শ্রমিক সখিনা আক্তার জানান, এ কাজ করে তার মতো গ্রামের অনেক নারী শ্রমিক সংসারের আয় বৃদ্ধি করছে। সংসারেও এসেছে সচ্ছলতা, তবে কাজের তুলনায় মজুরি অনেক কম। নারী শ্রমিকরা কারখানার মালিকের কাছে মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ শাড়ি শিল্প সংস্থার সভাপতি মো. আবুল হাসিম সবুজ জানান, শাড়ির কাজ করে এখানকার বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ শাড়ির ও থ্রি পিসের চাহিদা রয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ শাড়ি ও থ্রি পিস দেশের বাইরেও রফতানি করা সম্ভব বলে তিনি জানান। এব্যাপারে বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস এম আসলাম কবীর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওয়াতাভুক্ত নারী শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের সহায়তার প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।