বড়াইগ্রামে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিদ্যালয়ের সামনে, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে বনায়ন কর্মসূচির আওতায় লাগানো গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সোবাহান বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে বন বিভাগের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পারকোল হাইস্কুল থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত মেহগনি গাছের চারা রোপণ করে। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে আমাকে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেছিলেন আমার একটি গাছ দরকার। কিন্তু আমি তাতে সম্মতি দেইনি। পরবর্তীতে আমাকে না জানিয়ে ইদ্রিস আলী ও তার সহযোগীদের সহায়তায় গাছটি কাটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, যে পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পারকোল গ্রামের মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস হোসেন (২৮), মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে ফারুখ হোসেন (৫০), মৃত আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২), আমজাদ আলীর ছেলে আল আমিন একটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীরা বাধা দিয়ে সাংবাদিক ও প্রশাসনকে খবর দিলে গাছটি রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে প্রশাসন এসে তাৎক্ষণিক গাছটি উদ্ধার করে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে নিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, প্রধান শিক্ষকের মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে পারকোল পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের অজুখানার বারান্দা নির্মান কাজ করার জন্য একটি মেহগনি গাছ কাটা হয়েছিল।
বড়ইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়র পারভেজ বলেন, খবর পেয়েই নায়েবকে পাঠিয়ে গাছটি উদ্ধার করে উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে রাখা হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।