কিশোরগঞ্জে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জ থেকে মো. নাজিম উদ্দিন
কিশোরগঞ্জে অর্থলোভী বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সওজের ২০ লাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অভিযোগ, স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে গোপন আঁতাতে বন কর্মকর্তা সওজ'র গাছ কেটে নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ বছরে সওজ'র নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ অপারেশন ডিভিশন (পূর্বাঞ্চল) ঢাকার আওতাধীন গাছগুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নিলামে বিক্রয়ের দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রের বিবরণ অনুযায়ী ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব বাজার সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে দু-পাশে
সাদা রং ও ক্রমিক নাম্বার দেয়া ৮৭টি গাছ সর্বোচ্চ দর দাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঠিকাদার মো. আজিজুল ইসলামকে কেটে নেয়ার জন্য গত ১৪ মার্চ কার্যাদেশ দেয়া হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা পরবর্তীতে তা কিশোরগঞ্জ জেলার জনৈক কাঠ ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের কাছে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। সওজ'র কার্যাদেশ ও এফিডেভিটের ক্ষমতাবলে কাঠ ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন গাছ কাটতে গেলে তাতে বাধা দেন কিশোরগঞ্জের বন কর্মকর্তা মোমেন ভূইয়া, কর্মচারী হালিম ও স্থানীয় চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান এ.বি. ছিদ্দিক খোকা। স্থানীয় লোকজন জানান, ঠিকাদারের শ্রমিকদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার মো. শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে বন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ.বি ছিদ্দিক খোকাকে অভিযুক্ত করে ক্ষতিপূরণের দাবীতে গত ১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে এস.আই মাসুদুর রহমান ঘটনা তদন্ত করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সওজ'র সাদা রংয়ের উপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাল রংয়ের প্রলেপ দিয়েছে। তিনি আরো জানান প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়েছে। এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা মো. মোমেন ভঁূইয়া, চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।