১৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের শ্রমিক সমাবেশে কর্মসূচি
সেক্টর কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ সর্বনিম্ন ৮,৭৫০ টাকা প্রারম্ভিক মজুরি নির্ধারণ করে ১ জুলাই ২০১৫ ইং তারিখ হতে জাতীয় মজুরি স্কেল, ২০১৫ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও নববর্ষ ভাতা প্রদান, কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের পেনশন বা পেনশন সিস্টেম গ্রাচ্যুইটি প্রদান, কারখানার কর্মচারীদের পিআরএল ও লাম্প গ্রান্ট সুবিধা প্রদান, অবসরপ্রাপ্ত/মৃত শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটি, প্রভিডেন্ড ফান্ড, বীমা/ডেথ কমপেনসেশন-এর পাওনা পরিশোধ, শ্রমিক/কর্মচারীদের মজুরী/বেতন নিয়মিত ও শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ২০% মহার্ঘর্ ভাতার বকেয়া পরিশোধ, মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীদের বেলায় প্রসূতি ছুটি ৪ মাস হইতে ৬ মাসে বৃদ্ধি করা, বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতীয় মজুরি কমিশনভুক্ত শ্রমিকদের জাতীয় বেতন কমিশনভুক্ত করা, দৈনিক/পিচ রেইট ভিত্তিতে নিয়োজিতদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান, ইউরিয়া সার কারখানাসমূহে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, পলাশ ও ঘোড়াশাল ইউনিয়া সার করখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে প্রস্তাবিত নতুন কারখানায় আত্তীকরণ, অফ সিজনে চিনিকলসমূহকে র সুগার আমদানি, পরিশোধন ও বাজারজাতকরণের অনুমতি প্রদান, পাট শিল্পকে কৃষি শিল্পের ন্যায় সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং মৌসুমের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা, বিএফআইডিসি'র উৎপাদিত রাবার-এর বিক্রয় মূল্যের উপর আরোপিত ২৩% ভ্যাট ট্যাঙ্ প্রত্যাহারসহ ১৯ দফা দাবি আদায়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা, আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে ১ জুলাই ২০১৫ খ্রিঃ তারিখ হতে জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণাসহ ১৯ দফা মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায়, নেতৃবৃন্দ ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২ ঘণ্টা করে, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল ৪ ঘণ্টা করে এবং ২৬ তারিখ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
এরপরও যদি দাবি মানা না হয় তাহলে, চলমান আন্দোলন শেষে ১ মে'র পর লাগাতার কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করেন। ডিএপিএফসিএল সিবিএ'র সাধারণ সম্পাদক মাসুদ জাহাঙ্গীর-এর সঞ্চালনায় বিসিআইসি কর্মচারী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল হাদীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক খান সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এস. এম. কামরুজ্জামান চুন্নু, সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এম. কামাল উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ আলী, সদস্য ফরিদ উদ্দিন, আমিনুল হক ভূঁইয়া, খুরশিদ আলম, বিসিআইসি কর্মচারী লীগ সিবিএ'র সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সিবিএ'র সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
_প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।