বাংলাদেশের নৌপথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী ভারত
জনতা ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যেকোনো সহযোগিতায় ভারত সবসময় ছিলো ও থাকবে। আমরা চাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌপথে বাণিজ্য আরও বাড়ুক। তারই একটি নব সূচনা হলো গতকাল শুক্রবার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কন্টেইনার সার্ভিস আরও বাড়াবে ভারত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও নদীবন্দরে আন্তর্জাতিকভাবে পোস্টাল শিপিং সোনার তরী সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের সঙ্গে প্রথম নৌ, স্থল ও আকাশপথে চুক্তি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তীতে সেটা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন স্বীকৃত। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে শুধু নৌ চুক্তি নয়, বর্ডার গার্ড সীমানা চুক্তিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আজ পানগাঁও পোর্টে কন্টেইনার সার্ভিস চালু হওয়ার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও বাড়লো।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে এই প্রথম পানগাঁও বন্দরে কন্টেইনার সার্ভিস চালু হলো। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর পানগাঁও পোর্টটি উদ্বোধন করা হয়। এবং ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌপথে কন্টেইনার পরিবহন চুক্তি হয় এবং জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এ ছাড়া নৌ-মন্ত্রণালয় নতুন করে আরও ৩৬টি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার আন্তর্জাতিকভাবে এই প্রথম উদ্বোধন হলো। যেটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায়। কেননা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ পোর্টটি পড়ে থাকলেও কোনো সরকার পানগাঁও পোর্টটি চালু করেননি। কেননা তারা দেশের উন্নয়ন চান না। যদি চাইতেন তাহলে আরও আগে এ পোর্টটির কাজ শেষ হতো। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, উদ্বোধন থেকে এখন পর্যন্ত এ পোর্টটি কম ব্যবহার হয়েছে। যেখানে প্রথম বছর মাত্র ১ শতাংশ, ২য় বছর ২ শতাংশ, ৩য় বছর ৪.২ শতাংশ ও ৪র্থ বছরে মাত্র ১০ শতাংশ এ পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পোর্টটির ব্যবহার বাড়ানো উচিত। কেননা চট্টগ্রাম থেকে মাল খালাস করে রাজধানীতে আনতে যে অর্থের খরচ হবে, তারচেয়ে কম খরচে এখানে পণ্য খালাস করা সম্ভব।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।