
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছালে জার্মনিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর বিশেষ নিরাপত্তায় মিউনিখ ম্যারিয়ট হোটেলে পৌঁছালে জার্মানি আওয়ামী লীগ এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এসময় তাদের হাতে ছিল ফুল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ও প্ল?্যাকার্ড। ম্যারিয়টের লবিতে জার্মানি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। জার্মানিতে দুই দিনের এই সফরে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই নেতার বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হরাস, ইউরোপে চলমান শরণার্থী ও অভিবাসন সংকট, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার মিউনিখের বাইরিশার হফ কনফারেন্স হলে সিকিউরিটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে রাতে মিউনিখের মেয়রের দেওয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেন। ১৯৬৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের যাত্রা শরু হয়। স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি হলেও পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এই সম্মেলন বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সম্মেলন বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা আলোচনার সেরা 'থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কনফারেন্স' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন। সফরের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন। পরে একটি প্যানেল আলোচনাতেরও তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার পর আবুধাবিতে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১টায় আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি শেষে স্থানীয় সময় রাত সোয়া ২টায় মিউনিখের উদ্দেশ্যে রওনা হন শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন। মিউনিখ থেকে শনিবার রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন রোববার তার ঢাকা ফেরার কথা।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।