চিলমারীর চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন
চিলমার (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এবার বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বন্যায় ধান ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি হবার পর এবার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এই অঞ্চলের কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছে। বাদামের পাশাপাশি সরিষা, মাসকলাই ও আখের ফলন ও ভালো হবে মর্মে সকলের ধারণা।
সরেজমিনে উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ডাটিয়ার চরে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে সবুজের মেলা। কৃষকরা মাঠ থেকে বাদাম তুলতে শুরু করেছে। উক্ত চরের বাসিন্দা শাহাজাহান আলী (৪০), আজিত (৭০), এন্তাজ (৪৫) ও সিরাজুল (৫০) জানিয়েছেন, গত বন্যায় দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানি এসে ধান ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি করে। কৃষকরা কেউ পাট ঘরে তুলতে পারেনি। জমিতেই পাট পচে গেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সামনের দিনগুলো কিভাবে চলবে তা নিয়ে সবাই হতাশায় ভুগছিল।
কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাবার পর দেখা যায় চরের জমিগুলোতে ব্যাপক পলি মাটি পরেছে। উক্ত মাটিতে এবার বাদামসহ রবিশস্যের এতো ভালো ফলন হবে তা কেউ আশা করেনি। গত বছর বাদামের সর্বোচ মূল্য ছিল ৭শ থেকে ৮শ টাকা । এবার বাদাম মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা। বাদামের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা তাদের পূর্বের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছে।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি রবি মৌসুমে বাদামের লাক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬শ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭৫০ হেক্টর জমি। এছাড়া সরিষার লাক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর এ যাবৎ অর্জিত হয়েছে ৯৬০ হেক্টর, মাসকলাই লাক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০০ হেক্টর । এযাবৎ অর্জিত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমি। এছাড়াও আখ ও দেশি আলু কৃষকরা সবে লাগাচ্ছে। চরে ব্যাপক পলি পরায় এসব ফসল লাক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে মর্মে কৃষি অফিস আশা প্রকাশ করেছে। চিলমারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, জমিতে পলি পরাতে এবারে রবিশস্যেরও ভালো ফলন হবে মর্মে তিনি আশা করছেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।