প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা চাঁপাপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন নাগর নদে শ্রমিক লাগিয়ে অভিনব কায়দায় বালু উত্তোলন থামছে না। ফলে এলাকার শত শত একর আবাদি জমি বসতবাড়িসহ বাঁধ দেবে হুমকির মুখে পড়েছে।

আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদের বাঁধ ভেঙে বর্ষা মৌসুমে পানি উপচে পড়ে এলাকার বিপুল পরিমাণ আবাদি জমির ফসল নষ্ট, বসতবাড়ির ক্ষতি এবং বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া জমিতে পলি পড়ে আবাদের ফলন কমে যায়।

এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ঐ এলাকায় নাগর নদের ধার দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়।

এদিকে চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণে জুগনিতলা এলাকায় রশিদ নামের ব্যক্তি দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নাগর নদের তলায় শ্রমিক লাগিয়ে অভিনব কায়দায় বাঁধ ঘেঁষে বড় বড় গর্ত কেটে বালু উত্তোলন করার পর ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।

নদীর গভীর পর্যন্ত মাটি খনন হওয়ায় বাঁধের পাড় দেবে ও ভেঙে পাশের কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি ও বাঁধ এলাকার শত শত একর ফসলি জমি দেবে ফাটল ধরে হুমকির মুখে পড়ছে।

উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও থামানো যাচ্ছে না চাঁপাপুর এলাকায় বালু উত্তোলনের কাজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে বাঁধের ক্ষতিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।