সাগর-রুনির খুনিরা দ্রুত ধরা পড়বে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির (সাংবাদিক দম্পতি) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক। সাগর-রুনির খুনিরা দ্রুত ধরা পড়বে। আমরা প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছি। আশা রাখি দ্রুতই এর একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। এই দীর্ঘ সময়েও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে স্মারকলিপি দিতে যান সাংবাদিক নেতারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি যে তারিখ নির্ধারিত রয়েছে সেই তারিখেই যেন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। আর যেন সময় নষ্ট করা না হয় সেজন্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, যে কোনো হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর সেই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যা রহস্য উন্মোচন ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো কূল-কিনারা তারা করতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কোন অদৃশ্য শক্তি বা বাধার কারণে এই হত্যার তদন্তের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করা হচ্ছে সেটাই এখন বড় রহস্য।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ বাসায় খুন হন। পরে রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ৭ বছরে আদালতের ধার্য করা ৬২টি তারিখেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। বর্তমানে মামলার তদন্ত করছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত ৯ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।