অত্যাচারীরা সুখের জন্যে, তৃপ্তির জন্যে, ক্ষমতার বলয় বিস্তৃত করার জন্যে অত্যাচার-অবিচার করলেও বাস্তবে তারা কি সুখী? তারা সার্বক্ষণিকভাবে সুখের অভিনয় করলেও বাস্তবে তাদের অন্তর-মনে অশান্তি স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধে। তারপর কোন এক কুলক্ষণে অত্যাচারিতের গগন বিদারী চিৎকারে আসমানী বালায় ধ্বংস হয়ে যায় অত্যাচারীর প্রাসাদ এবং স্বয়ং অত্যাচারীও।
মার্কিন সৈন্যদের অত্যাচার-নিপীড়নের কথা সচেতন ব্যক্তি মাত্রেই জানেন। টাকা-পয়সা, আরাম-আয়েশ, বিলাসিতা-বিনোদন সবকিছুই তাদের আছে। কিন্তু সব কিছু থাকা সত্ত্বেও তাদের সুখ নেই। মিলিটারী ডক কম জানিয়েছে, গত বছরের শেষ তিন মাসে ২৮৬ জন মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে মেরীন অফিসার ৫৭ জন, নাবিক ৬৮ জন, বিমান বাহিনী ৫৮ জন এবং ১০৩ জন পদাতিক সেনা রয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর এই যে, এই আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুনশ্চ : উপরোক্ত তথ্য পর্যালোচনায় এটা স্পষ্ট করেই বলা যায়, মানুষ আসলে সৃষ্টিগতভাবেই কোন মন্দ কাজকে সমর্থন করে না কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি তাদেরকে মন্দ কাজ করতে বাধ্য করে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।