বারহাট্টায় পুকুর নিয়ে বিরোধ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জেলার বারহাট্টা উপজেলার বারইতাতিয়র গ্রামের একটি পুকুর নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর ব্যবহার করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গ্রামের মো. আবদুল মজিদ গত সোমবার পুলিশ সুপার বরাবরে শান্তি রক্ষা ও সুবিচারের আশায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, সার্কেল এএসপি, বারহাট্টা ইউএনও এবং বারহাট্টা থানার ওসিকে অনুলিপি দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টার রায়পুর মৌজায় এস.আর খতিয়ান নং ১২৬, এস.আর দাগ নং- ৩৫২৫ পুকুর শ্রেণির ১ দশমিক ০৪ শতাংশ ভূমিতে পুকুর দীর্ঘদিন ধরে ঐ গ্রামের মো. আবদুল মজিদ ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের সুমন দত্ত মজুমদার পুকুরটি তাদের দাবি করছেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এরই প্রেক্ষিতে আবদুল মজিদ এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিট করেন। বিজ্ঞ আদালত পুকুরটির ওপর স্থিতাবস্থা জারী করেন।
কিন্তু সুমন দত্ত মজুমদারের লোকজন রোববার ঐ পুকুরে সরস্বতী পূজা পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুমন দত্ত মজুমদার বলেন, দেবোত্তর ভূমিতে পুকুরটি শ্রী শ্রী গোপীনাথ বিগ্রহ মন্দিরের। স্থানীয় প্রশাসন গণশুনানীর মাধ্যমে পুকুরটি উন্মোক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটিতে পূজা অর্চনা করেছি। আবদুল মজিদ বলেন, পুকুরটি আমার, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে পুকুরটি ভোগ দখল করে আসছি। এলাকার সকলেই জানে। স্থানীয় কিছুলোক তাদের দাবি করে আমাকে বে-দখল দিয়ার চেষ্টা করছে। বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ঐ পুকুরটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ চলছে। উচ্চ আদালত পুকুরটির ওপর স্থিতাবস্থা রক্ষার নোটিশ করেছেন। নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, পুকুরের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।