বগুড়ার শেরপুরের বাঙালি নদীতে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহাউৎসব
বগুড়া থেকে এম.এ. রাশেদ
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া ও বরিতলী গ্রামের বাঙালি নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। নদী থেকে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঙন ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হলেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। দীর্ঘদিন হলো বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসনের সেদিকে যেন কোন নজর নেই। শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া ও বরিতলী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে বাঙালি নদীতে তিনটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গজারিয়া ও বরিতলী গ্রামে তোলা হচ্ছে বালু।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন হলো নদী থেকে তোলা হচ্ছে এই বালু। গজারিয়া গ্রামের ইউনুসের ছেলে রুবেল, নগর গ্রামের লতিফ এর মেশিন দিয়ে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় তোলা হচ্ছে বালু। নদীতে নৌকার উপর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর পশ্চিম তীরে কয়েকশ ফুট পাইপ লাগিয়ে ফেলা হচ্ছে বালু।
অবৈধভাবে তোলা এসব বালু দিয়ে ভরাট হচ্ছে খাল ও বসতবাড়ির গর্ত।
এমনকি প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি করে বালু বিক্রি করা হচ্ছে শেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। বরিতলী নতুনপাড়া এলাকায় বাঙালি নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, বালুর স্তুপ থেকে ট্রাকে তুলে বিক্রি করা হচ্ছে বালু। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা জানান, স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি এই বালু উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে খানপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সরকার জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তাও বালু তোলা বন্ধ হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা থাকলেও আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী শেখ জানান, ইতিপূর্বে বাঙালি নদী থেকে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছিল। আবারো কেউ বালু তুললে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেব।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।